লখনৌতে ঢুকতে দেওয়া হবে না তৃণমূলের প্রতিনিধিদের
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না লখনৌতে। রবিবার (২২ ডিসেম্ব) ওই তৃণমূল নেতারা পৌঁছনোর আগেই একথা জানিয়ে দেয় লখনউ পুলিশ। এদিন উত্তরপ্রদেশে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের। শনিবারই তৃণমূলের তরফে একথা জানানো হয়েছিল। রবিবার সেখানে যাওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়য এ, এই মুহূর্তে লখনৌতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে ঢুকতে পারবেন না নেতারা। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, যে তাঁদের কাছে তৃণমূল নেতাদের আসার খবর রয়েছে। তবে, যেহেতু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এবং তৃণমূল নেতারা গেলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, তাই তাঁদের সেখানে যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ছে পুলিশ। এদিন তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে চারজনের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা সেখানে। প্রতিনিধি দলে দীনেশ ত্রিবেদী ছাড়াও থাকবেন প্রতিমা মণ্ডল, নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে দেশের একাধিক রাজ্যের পাশাপাশি ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। শুক্রবার এই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ চলাকালীন উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় গুলি চলে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, দেওবন্দ, মুজফফরনগর, হাপুর, সামলি, প্রয়াগরাজ, বুলন্দশহর, মিরাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গার পরিস্থিতি এখনও যথেষ্টই উত্তপ্ত। একাধিক শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর ছাড়িয়ে অলি-গলিতেও পুলিশের কড়া নজরদারি। এছাড়াও ফিরোজাবাদ এলাকায় বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সামলি, হাপুর, এবং মুজাফফারনগর এলাকার পরিস্থিতিও যথেষ্ট থমথমে।